চকলেট নয়, বিষ খাওয়া উচিত বিএনপির আইনজীবীদের : নাসিম

আইনি লড়াইয়ে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারে না পারায় বিএনপির আইনজীবদের বিষ পান করে আত্মহত্যা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

নাসিম বলেছেন, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, বছরও চলে যায়-কিন্তু বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারে না। তাদের আইনজীবীরা মুখে চকলেট দিয়ে আদালতকে জিম্মি করে তাকে মুক্ত করতে চান, এটা অসম্ভব। এতদিনেও খালেদাকে মুক্ত করতে না পারার লজ্জায় চকলেট নয়, মুখে বিষ দিয়ে বিএনপির আইনজীবীদের আত্মহত্যা করা উচিত।

বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ১৪ দলের সমন্বয়ক নাসিম এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভার প্রধান অতিথি নাসিম বলেন, বিশ্বের এমন কোনো দেশ আমরা দেখি না, যেখানে আদালতকে জিম্মি করে কোনো আসামি মুক্তির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিএনপি এটা করতে চাইছে। আমি আদালতকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করবো। জনগণ আদালতের সঙ্গে আছে।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপির আইনজীবীরা আদালতে আসেন চকলেট মুখে। খালেদা জিয়া এখন ‘চকলেট আপা’য় পরিণত হয়েছেন। আইনজীবীদের মুখে চকলেট না দিয়ে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত।’

অনুষ্ঠানে জোটের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব সৈয়দ হাসান ইমামও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাংলাকে ভাগ করতে দেননি। তার আদর্শে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এদেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে গড়তে দেয়নি, জাতির পিতাকে হত্যা করেছে।

‘এখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই সোহরাওয়ার্দীকে স্মরণ করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলা যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার না থাকলে আমরা থাকবো না, আমাকে এ পর্যন্ত চারবার হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, আপনারাও থাকতে পারবেন না।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর উত্তরসূরী। সোহরাওয়ার্দী যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন আরও সহজ হতো। তার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে আরও এগিয়ে নিতেন।
‘ঘাতকেরা সোনার বাংলার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা তা হতে দেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে একটি গোষ্ঠী রয়েছে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিতে চায়। আইনি প্রক্রিয়ায় বারবার ব্যর্থ হয়ে তারা এখন আদালতকে জিম্মি করে আসামি মুক্ত করতে চায়। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে সর্বদা কাজ করছে। তবে এবার কড়া জবাব দেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, শামসুল হক টুকু, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন